
রবিবার, ২২/০৬/২০২৫
যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি ইরানের গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনাগুলিতে এক চমকপ্রদ সামরিক হামলা চালিয়েছে। এই অভিযানে ব্যবহার করা হয়েছে অন্তত ৬টি অত্যাধুনিক ‘বাংকার বাস্টার’ বোমা এবং প্রায় ৩০টি টোমাহক ক্রুজ মিসাইল। এই হামলার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে ব্যাহত করার একটি স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
সূত্র অনুযায়ী, হামলার মূল লক্ষ্য ছিল ইরানের গভীর ভূগর্ভস্থ পারমাণবিক স্থাপনাগুলি, যেগুলো সাধারণ বোমা দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত করা সম্ভব নয়। তাই ‘বাংকার বাস্টার’ নামক বিশেষ ধরনের শক্তিশালী বোমা ব্যবহার করা হয়, যা মাটির গভীরে প্রবেশ করে বিস্ফোরণ ঘটাতে সক্ষম। এই ধরনের বোমা মূলত সুসংরক্ষিত বাংকার ধ্বংসের জন্য তৈরি।
এর পাশাপাশি, ৩০টি টোমাহক মিসাইল দূর থেকে নিক্ষেপ করা হয়, যেগুলো অত্যন্ত নির্ভুলভাবে নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে। এই সমন্বিত হামলায় ইরানের পারমাণবিক গবেষণা কেন্দ্র, ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ স্থাপনা এবং অন্যান্য কৌশলগত ইনফ্রাস্ট্রাকচারে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ।
বিশ্ব পরিমণ্ডলে এই হামলা নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। ইরান এখনো এই হামলার পূর্ণ প্রতিক্রিয়া জানায়নি, তবে দেশটির সামরিক বাহিনী উচ্চ সতর্কতায় রয়েছে বলে জানা গেছে।
বিশ্লেষকদের মতে, এই হামলা কেবল ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নয়, বরং পুরো মধ্যপ্রাচ্যে নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলতে পারে। একইসঙ্গে পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তারের প্রশ্নে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতেও নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপ কতটা কার্যকর হবে এবং এর পরবর্তী প্রতিক্রিয়া কী হতে চলেছে, তা এখন সময়ই বলবে। তবে এতটুকু নিশ্চিত যে, ইরান-আমেরিকা উত্তেজনা নতুন এক বিপজ্জনক মোড়ে প্রবেশ করেছে।