
জেরুজালেম, রবিবার, ২২/০৬/২০২৫
“অপারেশন নার্নিয়া”… নামেই যেন কল্পনার জগৎ। কিন্তু বাস্তবটা ছিল ভয়ঙ্কর—এ যেন সিনেমার থেকেও বেশি নাটকীয়, বেশি নিখুঁত, আর অনেক বেশি রক্তাক্ত।
ঘুমন্ত অবস্থাতেই একে একে মৃত্যু নেমে এল ইরানের ন’জন শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানীর ঘরে। না, কোনও যুদ্ধক্ষেত্র নয়—তাঁরা সবাই ছিলেন নিজেদের বাড়িতে, গভীর ঘুমে। আর ঠিক সেই সময়েই শুরু হয় ইজরায়েলের গোপন অভিযান—‘অপারেশন নার্নিয়া’।
সূত্রের খবর, ইজরায়েলি গুপ্তচর সংস্থা মোসাদের নেতৃত্বে এই মিশনে ব্যবহার করা হয় ড্রোন, দূরনিয়ন্ত্রিত অস্ত্র এবং এক বছরের বেশি সময় ধরে তৈরি করা টার্গেট লিস্ট। বিজ্ঞানীদের ভাগ করা হয় চারটি শ্রেণিতে। যাঁরা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, যাঁদের বদলে কাউকে বসানো যাবে না—তাঁদেরই রাখা হয় ‘হিট লিস্ট’-এর শীর্ষে।
মিশনে নিযুক্ত ছিল ইউনিট ৮২০০-এর নির্বাচিত ১২০ জন সদস্য। উদ্দেশ্য ছিল স্পষ্ট—পরমাণু গবেষণার কেন্দ্র গুঁড়িয়ে দেওয়া, রাডার অচল করা এবং টার্গেট বিজ্ঞানীদের নিঃশব্দে সরিয়ে দেওয়া।
এই ভয়াল পর্বের শেষে ইরানের অভ্যন্তরে মৃত্যু, শূন্যতা, আর ক্ষোভ। আর তেল আভিভ থেকে আসে মোসাদের চাতুর্যপূর্ণ জবাব—
“তারা সবাই এখন ইরানে।”
আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে নতুন উত্তেজনা, আর পারমাণবিক সুরক্ষা নিয়ে ফের একবার প্রশ্নচিহ্ন। সত্যিই, এটা কি শুধুই অপারেশন? নাকি আধুনিক গুপ্তযুদ্ধের এক ভয়ঙ্কর ইঙ্গিত?