শুক্রবার, ২০/০৬/২০২৫ :-
লিডসের হেডিংলি মাঠে শুরু হয়েছে ভারত ও ইংল্যান্ডের মধ্যে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথম টেস্ট। এই ম্যাচ ঘিরে সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হল ভারতের নতুন টেস্ট অধিনায়ক শুভমান গিল। রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলির পর টেস্ট দলের নেতৃত্বে আসা গিলের জন্য এটি এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা।
ইংল্যান্ডের “বাজবল” স্ট্র্যাটেজির বিরুদ্ধে গিলকে কেবল ব্যাট হাতে নয়, ক্যাপ্টেন হিসেবেও নিজের বিচক্ষণতা ও কৌশল দিয়ে দলের নেতৃত্ব দিতে হবে। ভারতের ব্যাটিং লাইনআপে রয়েছেন ঋষভ পন্ত, যশস্বী জয়সওয়াল ও নতুন মুখ সাই সুদর্শন। বোলিংয়ে জসপ্রিত বুমরাহ, মহম্মদ সিরাজ ও প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ থাকায় বোলিং বিভাগ বেশ শক্তিশালী।
লিডসের পিচ সাধারণত পেসারদের সাহায্য করে, তাই প্রথম ইনিংসে টস জিতে বল করা দল সুবিধা পেতে পারে। আবহাওয়াও তুলনামূলকভাবে অনুকূল, যার ফলে পূর্ণ খেলা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
নতুন নেতৃত্ব, ইংল্যান্ডের আগ্রাসী স্ট্র্যাটেজি ও টেস্ট ক্রিকেটের ঐতিহ্য—সব মিলিয়ে এই ম্যাচ রোমাঞ্চে ভরপুর হতে চলেছে। ক্রিকেটপ্রেমীদের নজর থাকবে গিলের প্রথম টেস্ট অধিনায়কত্ব কেমন হয়, সেই দিকেই।
সম্ভবত এই প্রথমবার, ইংল্যান্ডে কোনো টেস্ট সিরিজ শুরুতে কাগজে-কলমে ভারতের পেস আক্রমণ স্পষ্টভাবে এগিয়ে রয়েছে। সম্পূর্ণ ফিট এবং খেলতে মুখিয়ে থাকা জসপ্রিত বুমরাহ এই আক্রমণের নেতৃত্ব দেবেন, তাঁর সঙ্গে থাকবেন অনবদ্য মহম্মদ সিরাজ।
দুজনেই ইংল্যান্ডের কন্ডিশনে নিজেদের প্রমাণ করেছেন এবং সেরা ব্যাটারদেরও চাপে ফেলার ক্ষমতা রাখেন, তাঁদের গতি ও সুইং দিয়ে। বিশেষ করে পুরনো বলে বুমরাহ যেভাবে ম্যাজিকাল স্পেল দিতে পারেন, তা ম্যাচের গতিপথই বদলে দিতে পারে। অন্যদিকে, সিরাজের ধারাবাহিক লাইন ও ক্লান্তিহীন প্রচেষ্টা বুমরাহকে দুর্দান্তভাবে সম্পূর্ণ করে।
তৃতীয় পেসার হিসেবে সুযোগ পেতে পারেন প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ, যিনি অস্ট্রেলিয়ায় ভালো পারফর্ম করেছিলেন এবং ভালো গতিতে খাড়া বাউন্স পেতে পারেন। চতুর্থ সিমার হিসেবে দেখা যেতে পারে শার্দুল ঠাকুর অথবা নিতীশ রাণাকে, দলের কম্বিনেশন অনুযায়ী।
ইংল্যান্ডের আক্রমণাত্মক ব্যাটিংকে চাপে রাখতে, ভারতের পেস ইউনিট শুরুতেই ব্রেকথ্রু পেতে চাইবে। শুরুর দিকে সুইং এবং পরে রিভার্স সুইং—সব মিলিয়ে এই বোলিং ইউনিটের হাতে রয়েছে সব ধরনের অস্ত্র।
হেডিংলেতে জিততে চাইলে ভারতের পেসারদেরই ইংল্যান্ডের পেসারদের ছাপিয়ে যেতে হবে — এবং এই কাজ তারা করতে সক্ষম। কোচ রাহুল দ্রাবিড় বোলিংয়ের ডিসিপ্লিনের উপর জোর দিয়েছেন, কারণ শুরুর দিকেই উইকেট তুলে নিতে পারলে ইংল্যান্ডের ‘বাজবল’ ছন্দ ভেঙে দেওয়া সম্ভব।