ওয়াশিংটন, ডিসি, বুধবার, ২৫/০৬/২০২৫
একজন মুম্বইয়ে জন্ম নেওয়া প্রতিভাবান ইঞ্জিনিয়ার, যিনি আমেরিকার অন্যতম গর্ব— B-2 স্টেলথ বোম্বার তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন, সেই নোশির গাওয়াদিয়া-র নাম আজ ইতিহাসে লেখা রয়েছে মার্কিন সামরিক গুপ্তচরবৃত্তির অন্যতম কুখ্যাত অধ্যায় হিসেবে। গোয়াদিয়া রাডার ও ইনফ্রারেড সিগন্যাল কমিয়ে স্টেলথ ক্ষমতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। তিনি বিমানের এক্সহস্ট ডিজাইন, হিট সিগনেচার রিডাকশন ও রাডার শোষণকারী উপাদান নিয়েও কাজ করেছিলেন।
১৯৮০-র দশকে নর্থ্রপ থেকে অবসর নেওয়ার পরেও তিনি যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কনট্রাক্টর হিসেবে গোপন তথ্যের অ্যাক্সেস পেয়ে যান। কিন্তু ১৯৯৭-এ তাঁর নিরাপত্তা ক্লিয়ারেন্স বাতিল করা হয়। এরপর তদন্তে উঠে আসে, ২০০০-এর দশকের শুরুতে তিনি চীন সফর করেন বহুবার। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ—চীনের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক স্টেলথ প্রযুক্তির গোপন তথ্য ফাঁস করেছেন তিনি। এইসব তথ্য ব্যবহার করে চীন তৈরি করেছে নিজেদের J-20 স্টেলথ ফাইটার (২০১১) এবং H-20 স্ট্র্যাটেজিক বোম্বার (২০১৬)।১৯৪৪ সালে বোম্বে (বর্তমান মুম্বই)-তে জন্মানো গোয়াদিয়া ১৯৬০-এর দশকে উচ্চশিক্ষার জন্য আমেরিকায় পাড়ি দেন। অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ দক্ষতা অর্জনের পর তিনি যুক্ত হন নর্থ্রপ গ্রুম্যান সংস্থার সঙ্গে, যেখানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে গোপন এবং প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত B-2 Spirit Stealth Bomber-এর ডিজাইন টিমের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন।
গোয়াদিয়া রাডার ও ইনফ্রারেড সিগন্যাল কমিয়ে স্টেলথ ক্ষমতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। তিনি বিমানের এক্সহস্ট ডিজাইন, হিট সিগনেচার রিডাকশন ও রাডার শোষণকারী উপাদান নিয়েও কাজ করেছিলেন। ১৯৮০-র দশকে নর্থ্রপ থেকে অবসর নেওয়ার পরেও তিনি যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কনট্রাক্টর হিসেবে গোপন তথ্যের অ্যাক্সেস পেয়ে যান। কিন্তু ১৯৯৭-এ তাঁর নিরাপত্তা ক্লিয়ারেন্স বাতিল করা হয়। এরপর তদন্তে উঠে আসে, ২০০০-এর দশকের শুরুতে তিনি চীন সফর করেন বহুবার। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ—চীনের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক স্টেলথ প্রযুক্তির গোপন তথ্য ফাঁস করেছেন তিনি। এইসব তথ্য ব্যবহার করে চীন তৈরি করেছে নিজেদের J-20 স্টেলথ ফাইটার (২০১১) এবং H-20 স্ট্র্যাটেজিক বোম্বার (২০১৬)।
তদন্তে জানা যায়, গাওয়াদিয়া চীনের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ পেয়েছিলেন, যা ব্যবহার করে তিনি হাওয়াই দ্বীপের একটি বিলাসবহুল সমুদ্রতীরবর্তী ভিলা কিনেছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে অস্ত্র রপ্তানি আইন লঙ্ঘন, অর্থ পাচার, এবং কর ফাঁকি-র অভিযোগও প্রমাণিত হয়। ২০০৫ সালে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ২০১০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের আদালত তাঁকে ১৪টি অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে এবং ৩২ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করে। বিচারক মন্তব্য করেন, “দেশের সবচেয়ে গোপন অস্ত্র-সংক্রান্ত ডিজাইন চীনের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য আজ তাঁকে জবাবদিহি করতে হচ্ছে।” চীন ছাড়াও গোয়াদিয়া জার্মানি ও সুইজারল্যান্ডের প্রতিরক্ষা তথ্যও পাচার করেছিলেন বলে জানায় যুক্তরাষ্ট্র বিমান বাহিনী।