
কলকাতা, ২৪/০৬/২০২৫
আগামী সেপ্টেম্বরেই অনুষ্ঠিত হতে চলেছে একাদশ শ্রেণির প্রথম সেমেস্টারের পরীক্ষা। রাজ্য উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ জানিয়ে দিয়েছে, এই পরীক্ষার সম্পূর্ণ দায়িত্ব থাকবে প্রত্যেক স্কুলের উপরেই। প্রশ্নপত্র তৈরি, উত্তরপত্র সরবরাহ, মূল্যায়ন থেকে শুরু করে ফলপ্রকাশ—সবটাই স্কুলগুলিকে নিজেদের উদ্যোগেই করতে হবে।
তবে, কোনও নির্দিষ্ট রুটিন সংসদের পক্ষ থেকে নির্ধারিত হয়নি। স্কুলগুলিই নিজেদের সুবিধা অনুযায়ী পরীক্ষার সময়সূচি তৈরি করবে।
এছাড়াও, সংসদ জানিয়েছে, নতুন বিষয় চালুর আবেদন করার সময়সীমা ২৮ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। বিশেষ করে বৃত্তিমূলক (ভোকেশনাল) বিষয়ে আরও ছাত্রছাত্রীকে আকৃষ্ট করতে সংসদ এগুলিকে কম্পালসারি ইলেকটিভ বিষয়ের মর্যাদা দিয়েছে। তবে শিক্ষকমহলের মতে, অনেক স্কুলেই এখনও পর্যাপ্ত পরিকাঠামো, ল্যাবরেটরি কিংবা দক্ষ শিক্ষক নেই—ফলে এই সিদ্ধান্ত বাস্তবে কতটা কার্যকর হবে তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে।
সংসদ আরও জানিয়েছে, ১৯৯৭ সালের পরে উত্তীর্ণ সব পরীক্ষার্থীর মাইগ্রেশন সার্টিফিকেট এবার থেকে শুধুই অনলাইনে দেওয়া হবে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, ভবিষ্যতে উত্তীর্ণ সকল পরীক্ষার্থী তাঁদের মাইগ্রেশন শংসাপত্র শুধুমাত্র অনলাইনে সংগ্রহ করতে পারবেন।
এই পদক্ষেপের ফলে ছাত্রছাত্রীরা আর কোনও অফিসে ঘোরাঘুরি না করেই সহজে প্রয়োজনীয় নথি হাতে পেয়ে যাবেন, এমনটাই আশা সংসদের।
সব মিলিয়ে একদিকে যেমন পরীক্ষা সংক্রান্ত নয়া নিয়মে স্কুলগুলির উপর চাপ বাড়ছে, অন্যদিকে অনলাইনে শংসাপত্র চালু হওয়ার ফলে কিছুটা হলেও স্বস্তিতে পড়ুয়ারা ও অভিভাবকেরা।