
কলকাতা, সোমবার, ২৩/০৬/২০২৫
নামেই ভূতের হোটেল, আর সেটেই কি সত্যিই ভূতের উপস্থিতি? পরিচালক শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ও নন্দিতা রায়-এর নতুন ছবি “ভানুপ্রিয়া ভূতের হোটেল”-এর শ্যুটিং চলাকালীন ঘটল রহস্যজনক ঘটনা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার এক পুরনো জমিদারবাড়িতে ছবির শ্যুটিং হচ্ছিল, আর সেখানেই কলাকুশলীরা শুনতে পান অদ্ভুত এক বার্তা—
“আমাদের নিয়ে দেখেশুনে কাজ করবেন।”
ঘটনার পর পরই শ্যুটিং ইউনিটে ছড়িয়ে পড়ে চাঞ্চল্য। হঠাৎ করে লাইট নিভে যাওয়া, ক্যামেরার অদ্ভুত আচরণ, ঠাণ্ডা বাতাসের স্রোত—এসব নিয়ে কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ে ইউনিট সদস্যদের। অনেকেই বলেন, “মনে হচ্ছিল যেন কেউ আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে, অথচ কাউকে দেখা যাচ্ছে না।”
“ভানুপ্রিয়া ভূতের হোটেল” একটি ডার্ক কমেডি হরর ফিল্ম, যেখানে হাসির মোড়কে এক রহস্যময় হোটেলের গল্প বলা হবে। হোটেলটি চালান ভানুপ্রিয়া, এক প্রাক্তন থিয়েটার অভিনেত্রী, যিনি হঠাৎ হোটেলটিকে খোলেন এক জঙ্গলঘেরা অঞ্চলে। কিন্তু অতিথিরা ক্রমে টের পান, এই হোটেলের প্রতিটি ঘরেই যেন কেউ বা কিছু আছে!
কৌশিক গাঙ্গুলি একজন রিটায়ার্ড পুলিশ অফিসারের ভূমিকায় রয়েছেন। যিনি হোটেলের রহস্য ভেদ করতে আসেন। সোহিনী সরকার রয়েছেন ভানুপ্রিয়া চরিত্রে। রহস্যময় অথচ করুণাময় হোটেল মালিক। অপরাজিতা আঢ্য যিনি ভানুপ্রিয়ার দিদি। হোটেলের রান্নাঘর সামলান। কিন্তু তাঁর চরিত্র ঘিরেও রহস্য রয়েছে। রুদ্রনীল ঘোষ যিনি কিনা অতিথি হয়ে আসা একজন ভ্লগার, যিনি হোটেলের ভিডিও করতে এসে জড়িয়ে পড়েন অলৌকিক ঘটনায়। অনুষা বিশ্বাস একজন কিশোরী অতিথি, যার চোখ দিয়ে দর্শক আবিষ্কার করে হোটেলের গোপন ইতিহাস। খরাজ মুখার্জি , তার চরিত্র এক স্থানীয় পুরোহিত, যিনি হোটেলের অতীত জানেন বলে দাবি করেন।
পরিচালক শিবপ্রসাদ বলেন,
“ঘটনা সত্যিই অদ্ভুত, তবে আমরা বিশ্বাস করি, যারা এখানে আগে ছিলেন তাঁদের সম্মান দিয়েই আমাদের গল্প বলা উচিত। ছবিতে বাস্তব আর কল্পনার মেলবন্ধন হবে। শ্যুটিং আমরা সচেতনভাবেই চালিয়ে যাব।”
এই ঘটনায় ছবিটির প্রতি কৌতূহল আরও বেড়েছে। এখন দেখার, ভূতের হানা ছবির প্রোমোশন নাকি প্রতিকূলতা তৈরি করে—তা সময় বলবে।