
জিয়াগঞ্জ, মুর্শিদাবাদ, বৃহস্পতিবার, ২৬/০৬/২০২৫
একুশে জুলাই শহিদ দিবসের আগে রাজনৈতিক উত্তেজনার আবহে জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ শহর তৃণমূল যুব কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আয়োজিত হল এক বর্ণাঢ্য পদযাত্রা ও দেওয়াল লিখন কর্মসূচি। এই কর্মসূচির নেতৃত্বে ছিলেন শহরের তৃণমূল যুব কংগ্রেস সভাপতি প্রসেনজিৎ ঘোষ, যিনি নবনিযুক্ত জেলা যুব তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি বিশ্বদেব কর্মকার-কে পাশে নিয়ে এক নতুন উদ্দীপনার সূচনা করেন।
একুশে জুলাইয়ের স্মরণে আয়োজিত এই পদযাত্রা ও দেওয়াল লিখনের মধ্য দিয়ে তৃণমূল যুব কংগ্রেস জানিয়ে দিল— “মা-মাটি-মানুষের দল আবারও ফিরে আসছে যুব শক্তির মেরুদণ্ডে ভর করে। ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনে **তৃণমূল কংগ্রেস চতুর্থবারের মতো মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তুলে ধরবে।” এই কর্মসূচি থেকেই দলের তরফে স্পষ্ট বার্তা— তরুণ প্রজন্মের জেদ, জনসংযোগ ও সংগঠনের ভিত্তিতেই আগামী রাজনৈতিক লড়াই হবে।
এই দেওয়াল লিখন কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অরুন সাহা, রাজ্য নেত্রী শাওনি সিংহ রায়, জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি বিশ্বদেব কর্মকার, বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলরবৃন্দ ও শহর যুব তৃণমূল কংগ্রেসের অসংখ্য কর্মী ও সদস্যরা।
দেওয়াল লিখনের মধ্যে উঠে এল “২০২৬-এ তারুণ্যের নেতৃত্বে জয়ের নিশান”, “মা-মাটি-মানুষের সরকার জিন্দাবাদ” এইসব স্লোগানে একদিকে দলের আত্মবিশ্বাস যেমন প্রতিফলিত হয়েছে, তেমনি ভোটের আগেই জনগণের মন জয় করার এক কৌশল স্পষ্ট।
রাজনৈতিক বার্তা ও ভবিষ্যতের প্রস্তুতি প্রসঙ্গে “এটা কেবল শহিদ দিবসকে কেন্দ্র করে কর্মসূচি নয়—এটাই আমাদের নির্বাচনী প্রস্তুতির সূচনা। জিয়াগঞ্জের প্রতিটি অলিতে গলিতে আমরা পৌঁছে দেব আমাদের নেত্রীর বার্তা।” বলেই জানায় জিয়াগঞ্জ শহর তৃণমূল শিবির। জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি বিশ্বদেব কর্মকার বলেন, “যুবসমাজ এখন আরও সংগঠিত, শক্তিশালী এবং লক্ষ্যনিষ্ঠ। আমাদের এই পদযাত্রা তরুণদের প্রত্যয় ও মানুষের আস্থার প্রতিচ্ছবি।”
জিয়াগঞ্জে এই পদযাত্রা ও দেওয়াল লিখন কর্মসূচি ছিল প্রতীকী, কিন্তু তা থেকেই ফুটে উঠল তৃণমূল কংগ্রেসের নির্বাচনী ময়দানে নামার সংকল্প। একুশে জুলাই শুধু স্মরণ নয়, তা এখন হয়ে উঠেছে ভবিষ্যতের জয়যাত্রার পদক্ষেপ — এই বার্তাই তুলে ধরল জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জের যুব তৃণমূল নেতৃত্ব।