Site icon বাংলা খবর

২২-২৬ জুন উত্তর-পশ্চিম ভারত ও পশ্চিমাঞ্চলে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস: প্রশাসনিক সতর্কতা ও জনসাধারণের জন্য নির্দেশিকা জারি

52196025795_06f077377a_c

সোমবার, ২৩/০৬/২০২৫ :-

আবহাওয়া দফতর আগামী ২২ থেকে ২৬ জুন পর্যন্ত উত্তর-পশ্চিম ভারত, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাট এবং কোকণ ও গোয়া অঞ্চলে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে। এই সময়ে মৌসুমি বায়ু অত্যন্ত সক্রিয় থাকবে এবং বেশ কয়েকটি রাজ্যে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এতে পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধস এবং নিচু এলাকায় জলাবদ্ধতার ঝুঁকি থাকছে।

ভারতের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের মধ্যে পড়ে ,জম্মু-কাশ্মীর, লাদাখ, গিলগিট-বালতিস্তান ও মুজাফ্‌ফরাবাদ,হিমাচল প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ড,পাঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগড় ও দিল্লি,পশ্চিম ও পূর্ব উত্তর প্রদেশ,পশ্চিম ও পূর্ব রাজস্থান।এছাড়া মধ্যপ্রদেশ, গুজরাট এবং কোকণ ও গোয়া উপকূলবর্তী এলাকা এই সময়ে প্রবল বৃষ্টির মুখোমুখি হতে পারে। ইতোমধ্যেই এই রাজ্যগুলির বিভিন্ন জেলা প্রশাসনকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধস: বিশেষ করে হিমাচল প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডে অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে ভূমিধসের ঝুঁকি বেড়েছে। রাস্তা বন্ধ হয়ে যেতে পারে, ফলে পর্যটকদের সাবধানতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে।

নিচু এলাকায় জলাবদ্ধতা: শহরাঞ্চলে বিশেষ করে দিল্লি, চণ্ডীগড় ও বৃহত্তর উত্তর প্রদেশের কিছু এলাকায় জলাবদ্ধতার সমস্যা দেখা দিতে পারে। ট্রাফিক ব্যবস্থাও বিঘ্নিত হতে পারে।

বিদ্যুৎ বিভ্রাট ও গাছ উপড়ে পড়ার ঘটনা: প্রবল বৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গে দমকা হাওয়া বইতে পারে, যার ফলে গাছ উপড়ে পড়া বা বৈদ্যুতিক লাইনে বিপর্যয়ের সম্ভাবনাও রয়েছে।

কৃষিক্ষেত্রে প্রভাব: কিছু এলাকায় অতিবৃষ্টির কারণে চাষের ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে। ধান চাষে জলাবদ্ধতা ক্ষতির কারণ হতে পারে আবার অন্যদিকে কিছু অঞ্চলে এই বৃষ্টি কৃষকদের উপকারেও আসতে পারে।

জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (NDRF) ও রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (SDRF) সম্ভাব্য বিপর্যয়ের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। হিমাচল প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডে পর্যটকদের অপ্রয়োজনে যাত্রা না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

আবহাওয়া সংক্রান্ত আপডেটের জন্য নিয়মিতভাবে স্থানীয় প্রশাসন ও আবহাওয়া অফিসের সতর্কবার্তা অনুসরণ করতে হবে।

অপ্রয়োজনে বাইরে বের না হওয়া, বিশেষ করে পাহাড়ি বা জলাবদ্ধতা প্রবণ এলাকায় ভ্রমণ না করার অনুরোধ করা হয়েছে।

জরুরি জিনিসপত্র প্রস্তুত রাখা ও প্রয়োজনে নিকটবর্তী ত্রাণ কেন্দ্রে যোগাযোগ রাখার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।

পরিস্থিতি মোকাবিলায় একযোগে কাজ করছে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার। তবে সাধারণ নাগরিকদের সচেতনতা ও প্রস্তুতিই বড় দুর্ঘটনা রোধে সবচেয়ে কার্যকরী বলে মনে করছে প্রশাসন।

Exit mobile version