বহরমপুর, ২২/০৬/২০২৬ :-
২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে তৃণমূল কংগ্রেস ইতিমধ্যেই রাজ্যজুড়ে নিজেদের সাংগঠনিক প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। শহিদ দিবসের আগে সেই প্রস্তুতির ঝলক মিলল মুর্শিদাবাদে। রবিবার বহরমপুরে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয়ে আয়োজিত সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব।
উপস্থিত ছিলেন মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রের সাংসদ আবু তাহের খান, জেলা তৃণমূল সভাপতি অপূর্ব সরকার, হরিহরপাড়া কেন্দ্রের বিধায়ক নিয়ামত শেখ সহ একাধিক বিধায়ক ও সংগঠক। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তাঁরা জানিয়ে দেন, আসন্ন ২১ জুলাই শহিদ দিবসের সভা এবার এক নতুন মাত্রা পেতে চলেছে। তাঁদের দাবি, গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণ সমর্থক যাবেন কলকাতার সভায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এবার রেকর্ড গড়বে মুর্শিদাবাদ জেলা।
তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, শহিদ দিবস শুধু স্মরণ নয়, ভবিষ্যতের লড়াইয়ের প্রস্তুতিও। তাই ২১ জুলাইয়ের সভায় বিপুল জনসমাগমের লক্ষ্য নিয়েই এগোচ্ছে জেলা নেতৃত্ব। সেইসঙ্গে তাঁরা স্পষ্ট জানিয়ে দেন—শুধু একটি সভার জন্য নয়, বড় লক্ষ্য ২০২৬-এর বিধানসভা ভোট। সেই কারণেই ইতিমধ্যেই রাজ্যজুড়ে বুথভিত্তিক সাংগঠনিক কাজ, দেওয়াল লিখন, কর্মিসভা, পথসভা, মিছিল, এবং প্রচার কর্মসূচি শুরু হয়ে গেছে।
তাঁদের কথায়, রাজনীতির মূল ভিত্তি হওয়া উচিত মানুষের সমস্যা জানা ও তা সমাধানের চেষ্টা করা। তাই রাজ্যের প্রতিটি ব্লক, অঞ্চল, শহর ও গ্রামে পৌঁছে মানুষের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ গড়ে তুলতে চাইছে তৃণমূল।
জেলার দৃষ্টিকোণ থেকে মুর্শিদাবাদ বরাবরই রাজনীতির এক গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। এবার সেই জেলাতেই তৃণমূল তার সংগঠনের ভিত আরও মজবুত করে তুলতে চাইছে। তাদের আশা, শুধু শহিদ দিবসের সভাই নয়, আগামী বিধানসভা ভোটেও জেলার প্রতিটি আসন থেকে ভালো ফল এনে রাজ্যস্তরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে মুর্শিদাবাদ।
সবমিলিয়ে শহিদ দিবসের প্রস্তুতি ও আসন্ন নির্বাচনের রণনীতি—দুটিই যে তৃণমূল এখন সমানভাবে গুরুত্ব দিচ্ছে, তা রবিবারের সাংবাদিক সম্মেলনে পরিষ্কার করে দিল মুর্শিদাবাদ তৃণমূল নেতৃত্ব।