কলকাতা, ২২/০৬/২০২৫
সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে নিট ইউজির ফলাফল। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন ১২ লক্ষ ৩৬ হাজার ৫৩১ জন পরীক্ষার্থী। তবে এই বিশাল সংখ্যার পেছনে এক গভীর প্রশ্ন জেগে উঠেছে—এঁরা কি সত্যিই যোগ্য?
নিটে পাশ করার জন্য কোনও নির্দিষ্ট ‘পার্সেন্টেজ’ নয়, নির্ধারিত হয় ‘পার্সেন্টাইল’-এর ভিত্তিতে। সেই সুযোগে ৭২০-এর মধ্যে মাত্র ১১৩ নম্বর পেয়েও (১৫.৭%) উত্তীর্ণ হয়েছেন বহু পরীক্ষার্থী। শুধু অসংরক্ষিত শ্রেণিতেই ১,৩৫,৩৮০ জন পরীক্ষার্থী পেয়েছেন ১১৩ থেকে ১৪৪-এর মধ্যে নম্বর, যা ১৫ থেকে ২০ শতাংশ মাত্র। এর বাইরেও ৬ লক্ষ ৩৫ হাজার পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন ১৫ থেকে ৩৪ শতাংশের মধ্যে নম্বর পেয়ে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এমবিবিএস আসনসংখ্যা এক লক্ষ ছাড়িয়ে যাওয়ায় সেই আসন পূরণ করতে ফলাফলের কাট-অফ নেমে এসেছে অস্বাভাবিকভাবে। এই প্রসঙ্গে চিকিৎসক ডাঃ সৌমিত্র ঘোষ বলেন, “এটা যথেষ্ট চিন্তার বিষয়। যোগ্যতার মান নিচে নামানো হলে ভবিষ্যতের চিকিৎসা ব্যবস্থাই ঝুঁকির মুখে পড়বে।”
অন্যদিকে, নিট শিক্ষকদের একাংশও এই ব্যবস্থার বিরোধিতা করছেন। তাঁদের দাবি, পার্সেন্টাইল নয়, পার্সেন্টেজের ভিত্তিতে মেধা যাচাই হওয়া উচিত।
অভিভাবকদের সংগঠনের প্রতিনিধি অশোককুমার শূর বলেন, “পয়সা দিয়ে ডাক্তার তৈরি করাটা লক্ষ্য হতে পারে না। ওইভাবে ডাক্তার তৈরি হলে তাঁরাও সবসময় টেনশনে থাকবেন। আর আমরা থাকব বিপদে।”
নিট ইউজি-র এই ফলাফল দেশের চিকিৎসা শিক্ষার মান নিয়ে নতুন করে ভাবার সময় এনে দিয়েছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রশ্ন উঠছে—ভবিষ্যতের ডাক্তার বেছে নেওয়ার এই প্রক্রিয়া কি দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থার ভবিষ্যৎকেই প্রশ্নের মুখে ফেলছে না?