
প্রতিভা, দলগত কাজ এবং দৃঢ়তা — এই তিনটি গুণ সাধারণত একটি সফল ক্রীড়া নাটকের কেন্দ্রবিন্দু দখল করে থাকে। সিতারে জমিন পার সেই পরিচিত কাঠামো মেনেই এগোয়, কিন্তু তার প্রকাশভঙ্গি ও আবেগময় উপস্থাপনায় নতুনত্ব আনে। এই চলচ্চিত্রে আমরা দেখি একদল তরুণ হুপস্টার, যারা সমাজের চোখে ‘অসম্ভব’ মনে হওয়া প্রতিকূলতার মুখে দাঁড়িয়ে, নিজেদের দক্ষতা ও একতাবদ্ধতার জোরে সাফল্যের দিকে এগিয়ে যায়।
গল্পটি কেবল একটি ক্রীড়া প্রতিযোগিতার লড়াই নয়, বরং এটি আত্মবিশ্বাস, সহানুভূতি এবং সাহসের এক গভীর মানবিক উপাখ্যান। পরিচালক এমনভাবে চরিত্রগুলোর গঠন করেছেন, যাতে দর্শক প্রতিটি খেলোয়াড়ের ব্যক্তিগত সংগ্রামের সঙ্গে সহজেই নিজেকে সংযুক্ত করতে পারে। হাস্যরসের হালকা ছোঁয়া, অনুপ্রেরণামূলক সংলাপ এবং হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া দৃশ্যগুলির মধ্যে দিয়ে নির্মাতা একটি ভারসাম্যপূর্ণ আবহ তৈরি করেছেন।
যদিও ছবির গতিতে কোথাও কোথাও খানিকটা ছন্দপতন লক্ষ্য করা যায়, বিশেষ করে দ্বিতীয়ার্ধে, তবুও এটি পুরো অভিজ্ঞতাকে নষ্ট করে না। বরং চরিত্রগুলোর গভীরতা এবং গল্পের আবেগঘন মুহূর্তগুলো দর্শককে শেষ পর্যন্ত বেঁধে রাখে।
সিতারে জমিন পার একটি হৃদয়গ্রাহী ক্রীড়া নাটক, যা কেবল মাঠের খেলার গল্প নয়, বরং জীবনের বৃহত্তর পাঠ শেখায় — যেখানে ঐক্য, অধ্যবসায় এবং বিশ্বাসই জয় এনে দিতে পারে।