তেহরান-তেলআভিভ, বুধবার, ২৫/০৬/২০২৫
মাত্র তিন থেকে চার ঘণ্টা! এর মধ্যেই ভেঙে পড়ল ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধবিরতির স্বল্পস্থায়ী স্বপ্ন। যুদ্ধবিরতির ঘোষণা হওয়ার পরও ফের গোলাবর্ষণ শুরু হয়েছে— এমনটাই দাবি করল ইজরায়েল। তাদের অভিযোগ, যুদ্ধবিরতির শর্ত ভেঙে ইরান আবারও রকেট ছুঁড়েছে ইজরায়েল সীমান্তে। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ইজরায়েলও শুরু করেছে পাল্টা আক্রমণ। ফলে মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনা ফের ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র।
এর আগে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সরাসরি সতর্ক করেছিলেন দুই দেশকে। তাঁর আবেদন ছিল— “আরও বড় ধ্বংসের দিকে এগোচ্ছে বিশ্ব, এখনই থামুন।” তবে বাস্তব ছবিটা উলটো। ট্রাম্পের হুঁশিয়ারির ঘণ্টাও গর্জন করে থেমে গেল, যুদ্ধ থামার বদলে ফের জ্বলে উঠল আগুন।
ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দাবি, যুদ্ধবিরতির পর মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ইরান সীমান্ত পেরিয়ে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়ে। তারা এটিকে একরকম “চুক্তি ভঙ্গ” বলেই আখ্যা দিয়েছে। পাল্টা হামলা চালানো হয়েছে সিরিয়া ও ইরাকে ইরান ঘনিষ্ঠ মিলিশিয়াদের ঘাঁটিতে।
ইরানের তরফে এখনো সরাসরি কিছু জানানো না হলেও তাদের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম সূত্রে দাবি, “ইজরায়েল যুদ্ধবিরতির শর্ত মেনে চলেনি, আমাদের প্রতিরক্ষা করতে বাধ্য হয়েছি।”
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া:
জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন উভয়ই এই সংঘর্ষ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তারা আবারও উভয় পক্ষকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত স্থায়ী সমাধানের কোনও লক্ষণ নেই।
বিশ্বজুড়ে শান্তির ডাক যতই জোরালো হোক না কেন, বাস্তবে মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের দাবানল থামার লক্ষণ নেই। এই অবস্থায় প্রশ্ন উঠছে— কূটনৈতিক প্রচেষ্টাগুলো কি নিছক লোক দেখানো? নাকি যুদ্ধই এখন নতুন কূটনীতি?