কলকাতা, ২৪/০৬/২০২৫
৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল সংক্রান্ত মামলায় সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে সরব হলেন শিক্ষকদের একাংশের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, শুধুমাত্র দুর্নীতির একটি ধারণার ভিত্তিতে এত বড় সংখ্যায় চাকরি বাতিল করেছে সিঙ্গল বেঞ্চ, যা আইনি প্রক্রিয়ার পরিপন্থী।
কল্যাণবাবুর বক্তব্য, যাঁদের চাকরি বাতিল করা হয়েছে, তাঁদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। এমনকী সাক্ষীদের জেরা করার সুযোগও দেওয়া হয়নি, যা ন্যায়বিচারের পরিপন্থী।
তিনি আরও দাবি করেন, সিবিআই যে তদন্ত করেছে, সেই রিপোর্টও প্রতিটি মামলাকারীকে জানানো হয়নি। শুধু তাই নয়, কোনও শিক্ষক ফৌজদারি অপরাধে জড়িত—তা প্রমাণ করেও দেখাতে পারেনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। অথচ এমন মারাত্মক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, যার প্রভাব পড়েছে হাজার হাজার পরিবারের উপর।
এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১ জুলাই ধার্য হয়েছে। শিক্ষক মহলে এই মামলা ঘিরে উদ্বেগ তুঙ্গে। কেউ কেউ আশাবাদী যে বিচারপতির বেঞ্চ এই যুক্তিগুলি বিচার করে আগামী দিনে চাকরি পুনর্বহালের সম্ভাবনা তৈরি করতে পারে।
এই মামলা শুধু চাকরি নয়, প্রাথমিক স্তরের শিক্ষা ব্যবস্থার বিশ্বাসযোগ্যতা এবং প্রশাসনিক প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়েও বড় প্রশ্ন তুলে দিল—মত আইন বিশেষজ্ঞদের।