
জাপানের Nippon Telegraph and Telephone Corporation (NTT) সম্প্রতি একটি বৈপ্লবিক প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে, যা ড্রোন ব্যবহার করে কৃত্রিমভাবে বজ্রপাত সৃষ্টি ও নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম। এই প্রযুক্তি ভবিষ্যতে শহর ও অবকাঠামোকে বজ্রপাতের ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
২০২৪ সালের ডিসেম্বরে, জাপানের শিমানে প্রিফেকচারের হামাদা শহরের পার্বত্য অঞ্চলে NTT একটি পরীক্ষামূলক ড্রোন উড্ডয়ন করে। ড্রোনটি ৩০০ মিটার উচ্চতায় উঠে একটি পরিবাহী তারের মাধ্যমে মাটির সঙ্গে সংযুক্ত ছিল। থান্ডারক্লাউডের নিচে অবস্থান করে, ড্রোনটি বৈদ্যুতিক ক্ষেত্রের পরিবর্তন শনাক্ত করে এবং একটি সুইচের মাধ্যমে বজ্রপাত সৃষ্টির প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে। এই পরীক্ষায় ড্রোনটি সফলভাবে বজ্রপাত সৃষ্টি করে এবং তার “ফারাডে খাঁচা” নামক সুরক্ষিত খাঁচার মাধ্যমে নিজেকে রক্ষা করে উড্ডয়ন অব্যাহত রাখে।
পরীক্ষাগারে এই খাঁচাটি প্রাকৃতিক বজ্রপাতের চেয়ে পাঁচ গুণ বেশি শক্তিশালী কৃত্রিম বজ্রপাত সহ্য করতে সক্ষম হয়েছে।বিশ্বজুড়ে বজ্রপাতের কারণে প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ ক্ষতি হয়। জাপানে এই ক্ষতির পরিমাণ বছরে প্রায় ১০০ থেকে ২০০ বিলিয়ন ইয়েন, যা প্রায় ১.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সমতুল্য। NTT-এর এই ড্রোন প্রযুক্তি ভবিষ্যতে এই ক্ষতি কমাতে এবং বজ্রপাতের পূর্বাভাস ও নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এছাড়া, তারা বজ্রপাতের শক্তিকে সংরক্ষণ করে পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি উৎস হিসেবে ব্যবহারের সম্ভাবনাও বিবেচনা করছে।