Site icon বাংলা খবর

এয়ার ইন্ডিয়ায় ডিউটি-ডিসঅর্ডার! লাইসেন্স ছাড়াই দায়িত্ব—তিন শীর্ষকর্তা বরখাস্তের মুখে

IMG-20250622-WA0019

নয়াদিল্লি, রবিবার, ২২/০৬/২২০৫

ড্রিমলাইনার বিপর্যয়ের পর থেকেই যেন একের পর এক দুর্ভোগের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে এয়ার ইন্ডিয়া। আমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আরও বড় অভিযোগের মুখে পড়ল দেশের অন্যতম পুরনো এই বিমান সংস্থা। এবার সরাসরি ব্যবস্থা নিল অসামরিক বিমান পরিবহণ নিয়ামক সংস্থা ডিজিসিএ (DGCA)। এয়ার ইন্ডিয়ার তিন শীর্ষকর্তার বিরুদ্ধে শুরু হয়েছে বিভাগীয় তদন্ত। অভিযোগ প্রমাণিত হলে বাতিল হতে পারে সংস্থার উড়ানের অনুমতিও।

ডিজিসিএ-র কোপে পড়েছেন এয়ার ইন্ডিয়ার ডিভিশনাল ভাইস প্রেসিডেন্ট চূড়া সিং, চিফ ম্যানেজার (ক্রু শিডিউলিং) পিঙ্কি মিত্তল এবং ক্রু শিডিউলিং প্ল্যানিং বিভাগের পায়েল অরোরা। তাঁরা মূলত বিমানকর্মীদের কাজের সময়সূচি নির্ধারণের দায়িত্বে ছিলেন।

পাইলটদের ১০ ঘণ্টার বেশি টানা কাজ করানো হয়েছে।
পর্যাপ্ত বিশ্রামের ব্যবস্থা করা হয়নি। কিছুক্ষেত্রে বৈধ লাইসেন্স ছাড়াই বিমানে কাজ করানো হয়েছে। নির্ধারিত সময় পেরিয়েও পাইলট-ক্রুদের দিয়ে কাজ করানো হয়েছে বেঙ্গালুরু-লন্ডন রুটে। ক্রুদের শিডিউলে একাধিক অনিয়ম ধরা পড়েছে।

আমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনার কয়েকদিন আগেই ডিজিসিএ এয়ার ইন্ডিয়াকে সতর্ক করেছিল। নিরাপত্তা বিধি না মেনে তিনটি এয়ারবাস চালুর অভিযোগ ওঠে। এরপরও সংস্থা কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি।

ডিজিসিএর নির্দেশে অভিযুক্ত তিন আধিকারিকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করেছে এয়ার ইন্ডিয়া। ১০ দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। সেই সময় পর্যন্ত অভিযুক্তরা কোনও প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না।

“নিরাপত্তা লঙ্ঘনের মতো গুরুতর অভিযোগে এয়ার ইন্ডিয়ার দোষ প্রমাণিত হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে তাদের উড়ানের অনুমতিও স্থগিত করা হবে,”—সাফ জানিয়ে দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

এই ঘটনায় আবারও প্রশ্ন উঠেছে—বিমানে পা রাখার আগে যাত্রীরা কি আদৌ নিরাপদ? আর একের পর এক দুর্ঘটনা, বাতিল ফ্লাইট আর দায়িত্বজ্ঞানহীন ব্যবস্থাপনার মধ্যে দিয়ে কোথায় যাচ্ছে জাতীয় বিমান সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়া?

Exit mobile version