Site icon বাংলা খবর

আমেরিকার সেনাঘাঁটিতে ইরানের হামলা, ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতির পরও দানা বাঁধছে নতুন বিশ্ব সংঘাত! ভারতের ওপর কী প্রভাব?

yemen

তেহরান-ওয়াশিংটন-নয়াদিল্লি, বুধবার, ২৫/০৬/২০২৫

মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল রূপ নিচ্ছে। ইরান এবার সরাসরি হামলা চালাল আমেরিকার একটি সেনাঘাঁটিতে। বিশ্লেষকদের মতে, ইরান-ইসরাইল যুদ্ধক্ষেত্রে আমেরিকার “গ্র্যান্ড এন্ট্রি”-র জবাব দিতেই এই পদক্ষেপ নিয়েছে তেহরান। ফলে বিশ্ব রাজনীতির মঞ্চে ফের অস্থিরতার ঘনীভবন।

প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানালেও, বাস্তবে সংঘাত থামার কোনও লক্ষণ নেই। বরং এই পরিস্থিতি আরও বড় আকার নিচ্ছে বলেই আশঙ্কা কূটনৈতিক মহলের।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে এই সরাসরি সামরিক সংঘর্ষ মধ্যপ্রাচ্যে এক নতুন অস্থিরতার সূচনা করল। এর প্রেক্ষিতে ইসরাইলও তার সামরিক প্রস্তুতি আরও বাড়িয়েছে। আমেরিকার ঘাঁটিতে হামলার পর পশ্চিম এশিয়ার বেশ কয়েকটি মার্কিন ঘাঁটিতে ‘রেড অ্যালার্ট’ জারি হয়েছে।

এই যুদ্ধ পরিস্থিতি ভারতেও একাধিক দিক থেকে প্রভাব ফেলতে পারে—

তেলের দাম বৃদ্ধি: ইরান-আমেরিকা সংঘাতের ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের মূল্য দ্রুত বাড়তে পারে। তার সরাসরি প্রভাব পড়বে ভারতের আমদানিকৃত জ্বালানির দামে ও দেশের অর্থনীতিতে। মধ্যপ্রাচ্যে কর্মরত ভারতীয়দের নিরাপত্তা: উপসাগরীয় অঞ্চলে কর্মরত কয়েক লক্ষ ভারতীয় শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। ভারতকে সতর্কতার সঙ্গে মধ্যপন্থা বজায় রাখতে হবে, কারণ দুই পক্ষই ভারতের কৌশলগত মিত্র। পণ্য আমদানি ও বাণিজ্য বিঘ্ন: ইরান ও আশপাশের অঞ্চলে বাণিজ্যিক রুট বা বন্দর ব্যবহার বন্ধ বা সীমিত হলে ভারতের আমদানি-বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

ইরান-ইসরাইল যুদ্ধ যতটা আঞ্চলিক মনে হচ্ছিল, ততটাই দ্রুত তা পরিণত হচ্ছে এক বহুপাক্ষিক আন্তর্জাতিক সংঘাতে। তাতে যুক্ত হচ্ছে শক্তিশালী রাষ্ট্রের সামরিক হস্তক্ষেপ। ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতির আবেদন নিছক রাজনৈতিক বার্তা হয়ে থাকলেও, বাস্তবে যুদ্ধ থামানোর মতো পরিবেশ এখনও তৈরি হয়নি। বরং বিশ্বজুড়ে নতুন করে উদ্বেগের ছায়া নেমে এসেছে। ভারত-সহ এশিয়া ও ইউরোপের একাধিক দেশ এই সংঘাতের বহুমাত্রিক প্রভাবের মুখোমুখি হতে পারে।

Exit mobile version