বীরভূম, মঙ্গলবার, ২৪/০৬/২০২৫
রিপোর্ট :- অনির্বাণ
বোলপুর থানার আইসি লিটন হালদারকে হুমকি দেওয়ার ঘটনায় ফের উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। বীরভূমের প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগে এবার আরও কঠোর পদক্ষেপ নিল জাতীয় মহিলা কমিশন। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ১ জুলাইয়ের মধ্যে বীরভূমের পুলিশ সুপারকে হাজিরা দিতে হবে, এমনটাই নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।
মে মাসের শেষদিকে ভাইরাল হওয়া একটি অডিও ক্লিপ ঘিরে রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছিল বিতর্ক। অভিযোগ, সেই অডিওতে অনুব্রত মণ্ডল বোলপুর থানার আইসি-কে হুমকি দেওয়ার পাশাপাশি তাঁর মা ও স্ত্রীকেও কুরুচিকর ভাষায় আক্রমণ করেন।
ঘটনার পর জাতীয় মহিলা কমিশন দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে পুলিশের কাছে জানতে চায়— থানার সাইটে কেন এফআইআরের কপি আপলোড করা হয়নি? পুলিশের দেওয়া রিপোর্টে এই প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে বলেই দাবি করেছে কমিশন। সেই কারণেই বীরভূমের এসপি-কে ব্যক্তিগতভাবে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কমিশনের তরফে আরও প্রশ্ন তোলা হয়েছে, অনুব্রত মণ্ডলের ফোন কেন বাজেয়াপ্ত করা হয়নি? কেন তাঁর বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি, যদিও তিনি এই ঘটনার পর আগাম জামিনের জন্য আদালতের দ্বারস্থ হননি?
ঘটনাটি ঘিরে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বিরোধী দলগুলোর দাবি, এই ঘটনায় শাসকদলের প্রভাব খাটানোর চেষ্টা স্পষ্ট। জাতীয় মহিলা কমিশনের সক্রিয় পদক্ষেপে প্রশাসনিক দিক থেকেও চাপ বাড়ছে বীরভূম জেলা পুলিশের উপর।
আগামী ১ জুলাইয়ের মধ্যে বীরভূমের পুলিশ সুপার হাজির না হলে, কমিশনের পক্ষ থেকে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলেও সূত্রের খবর। এখন দেখার, প্রশাসনের পক্ষ থেকে কী ব্যাখ্যা উঠে আসে এই বিস্ফোরক অভিযোগে।