
নয়াদিল্লি, রবিবার, ২৯/০৬/২০২৫
পহেলগাঁও হামলার পর ভারত পরিচালিত ‘অপারেশন সিন্দুরে’ পাকিস্তান ও পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের ন’টি জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছিল। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই ফের সেই ঘাঁটিগুলির পুনর্নির্মাণে নেমেছে পাকিস্তান, এমনই বিস্ফোরক তথ্য উঠে এসেছে ভারতীয় গোয়েন্দাদের কাছে।
আইএসআই ও পাক সেনা মদতপুষ্ট এই জঙ্গিঘাঁটিগুলি এবার আরও অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে তৈরি করা হচ্ছে। ড্রোন ও স্যাটেলাইটের নজর এড়াতে সীমান্তবর্তী ঘন জঙ্গলের মধ্যে ছোট ছোট শিবির গড়ে তোলা হচ্ছে, যাতে হামলার ক্ষেত্রে বড় ক্ষতি এড়ানো যায়।
বর্তমানে লুনি, পুটওয়াল, তাইপু পোস্ট, জামিলা পোস্ট ও ছোটা চক-সহ একাধিক এলাকায় ক্যাম্প তৈরি হচ্ছে। একইসঙ্গে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের কেল, সারডি, দুধনিয়াল সহ ১৩টি জায়গায় এবং জম্মু সেক্টরের আন্তর্জাতিক সীমান্ত বরাবর মাসরুর বড়া ভাই, চাপরার, লুনি ও শাকরগড়ে লঞ্চপ্যাড তৈরি করছে পাক সেনা ও আইএসআই। উল্লেখযোগ্যভাবে, শাকরগড়ে একটি ড্রোন সেন্টারও গড়ে তোলা হয়েছে।
নতুন কৌশলে প্রতিটি ঘাঁটি ভাগ করা হচ্ছে ছোট ছোট মিনি ক্যাম্পে, যাতে এক জায়গায় জঙ্গিদের বেশি জমায়েত না হয়। এতে ভারতীয় সেনার প্রতিরোধমূলক হামলা হলেও ক্ষয়ক্ষতি কম হবে বলে মনে করছে আইএসআই। প্রতিটি শিবিরে থাকবে নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা, থার্মাল সেন্সর, লো-ফ্রিকোয়েন্সি রাডার ও অ্যান্টি ড্রোন প্রযুক্তি।
গোয়েন্দা সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, এই জঙ্গি কার্যকলাপের জন্য অর্থ ও মানবসম্পদ জোগাতে ভাওয়ালপুরে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়, যেখানে উপস্থিত ছিল জইশ-ই-মহম্মদ, লস্কর-ই-তোইবা, হিজবুল মুজাহিদিন ও টিআরএফের শীর্ষ নেতারা। উপস্থিত ছিল আইএসআইয়ের কর্তারাও।
সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয়, পাকিস্তান এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক (ADB) থেকে যে অর্থ সাহায্য পেয়েছে, তার একটি অংশ এই জঙ্গিঘাঁটি নির্মাণেই খরচ করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অর্থাৎ আন্তর্জাতিক মঞ্চে ‘শান্তিপ্রিয়’ ভাবমূর্তি তুলে ধরে আড়ালে ফের সন্ত্রাসে মদত দিচ্ছে ইসলামাবাদ।
ভারতীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলি ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে কেন্দ্রকে রিপোর্ট জমা দিয়েছে। সীমান্তে নজরদারি আরও বাড়ানো হচ্ছে। কারণ, এই পুনর্গঠিত জঙ্গিঘাঁটিগুলি আগামী দিনে ভারতের অভ্যন্তরে সন্ত্রাস ছড়ানোর জন্য আবার সক্রিয় হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।