নয়াদিল্লি, ২৪/০৬/২০২৫
বহু প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে ডেঙ্গুর টিকা বাজারে আসতে চলেছে। আইসিএমআর (ICMR) ও পানাসিয়া বায়োটেকের যৌথ উদ্যোগে তৈরি ডেঙ্গু ট্রেটাভ্যালেন্ট ভ্যাকসিন ইতিমধ্যেই ফেজ-থ্রি ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, ২০২৬ সালের মধ্যেই এই টিকা সাধারণ মানুষের নাগালে পৌঁছবে।
এই মুহূর্তে ছাড়পত্র ও পরিকাঠামোগত প্রস্তুতি প্রক্রিয়া চলছে বলে সরকারি সূত্রে খবর। পাশাপাশি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের আওতায় থাকা ডিপার্টমেন্ট অব বায়োটেকনোলজি (DBT)-ও তৈরি করছে ডেঙ্গুর ভ্যাকসিন। তাদের টিকার প্রথম ধাপের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে।
ডিবিটির সচিব ডঃ রাজেশ গোখলে জানিয়েছেন, “এই টিকা ছাড়াও চিকনগুনিয়া ও ইনফ্লুয়েঞ্জার প্রোটিন বেসড ভ্যাকসিন নিয়েও গবেষণা চলছে। চিকনগুনিয়ার ভ্যাকসিন বর্তমানে ফেজ-টু ট্রায়ালে রয়েছে। আশা করা যায়, আগামী এক-দু বছরের মধ্যে এগুলিও ছাড়পত্র পাবে।”
উল্লেখযোগ্যভাবে, কোভিড মহামারির সময় ডিবিটি জাইকোভ-ডি, কোরবেভ্যাক্স-সহ পাঁচটি সফল ভ্যাকসিন তৈরির কৃতিত্ব অর্জন করেছিল। সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখেই এবার মশাবাহিত ও মৌসুমী রোগের প্রতিষেধক তৈরিতে এগিয়ে আসছে তারা।
এদিন ন্যাশনাল মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং জানিয়েছেন, ‘‘বর্ষা ও ভূমিকম্প পূর্বাভাস থেকে শুরু করে ল্যাভেন্ডার বিপ্লব—বিজ্ঞানের প্রতিটি ক্ষেত্রেই ভারত এগিয়ে চলেছে।’’ মন্ত্রী আরও জানান, এখনই পৃথিবীর কোথাও ভূমিকম্পের প্রাক্-সতর্কবার্তা দেওয়ার প্রযুক্তি না থাকলেও, দ্বিতীয় তরঙ্গ আসার আগে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা চালু করার উদ্যোগ নিচ্ছে দেশ।
তবে এই সম্মেলনে কিছুটা অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটেছে। সংবাদ সম্মেলনের মাঝপথে সিএসআইআর-এর সচিব ডঃ এন কলাসেলভি বসে থাকা চেয়ার ভেঙে পড়ে যান। যদিও তিনি গুরুতর আহত হননি, তড়িঘড়ি অন্য চেয়ার এনে দেওয়া হয়। সামান্য অস্বস্তিতে পড়লেও, সম্মেলন চলতে থাকে নির্ধারিত গতিতেই।
সব মিলিয়ে, ডেঙ্গুর প্রতিষেধক নিয়ে দেশে আশার আলো দেখাচ্ছে বিজ্ঞানমহল। দীর্ঘদিনের অপেক্ষার পর এবার হয়তো মিলবে কার্যকর প্রতিরোধ—বাঁচবে বহু প্রাণ।