
নয়াদিল্লী, শনিবার, ২৮/০৬/২০২৫
দেশজুড়ে স্কুলশিক্ষায় ক্রমেই বেড়ে চলেছে প্রাইভেট কোচিং-এর উপর নির্ভরতা। সাধারণ স্কুলগুলির উপর পড়ুয়াদের আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে— এই বাস্তবতাকে সামনে রেখে এবার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে উদ্যোগী হল কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক। ইতিমধ্যেই এই সংক্রান্ত একটি ৯ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে, যার চেয়ারম্যান করা হয়েছে উচ্চশিক্ষা দপ্তরের কেন্দ্রীয় সচিবকে।
কমিটির লক্ষ্য, শুধু একটি রিপোর্ট বানিয়ে থেমে না থেকে, পড়ুয়া ও অভিভাবকদের কোচিং নির্ভরতা কমাতে সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্যোগও নেবে এই কমিটি। শিক্ষামন্ত্রক মনে করছে, আজকের দিনে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রেও কেরিয়ার ভিত্তিক নানা বিকল্প পথ তৈরি হয়েছে, যা পড়ুয়াদের বোঝাতে হবে।
৮ দফা এজেন্ডা অনুযায়ী, কমিটি খতিয়ে দেখবে— স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যে ক্রিটিক্যাল থিঙ্কিং, লজিক্যাল রিজনিং, অ্যানালিটিক্যাল অ্যাবিলিটি ও ইনোভেশনের ক্ষমতা কোথায় দাঁড়িয়ে আছে। কেন ছাত্রছাত্রীরা কোচিং সেন্টার অথবা তথাকথিত ‘ডামি স্কুল’-এর দিকে ঝুঁকছেন। আদৌ কি বিদ্যালয়গুলো পড়াশোনার মূল কাঠামো বজায় রাখতে পারছে?
কমিটির অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন CBSE-র চেয়ারম্যান, স্কুল শিক্ষা দপ্তরের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সচিব, IIT মাদ্রাজ, NIT ত্রিচি, IIT কানপুর এবং NCERT-এর প্রতিনিধিরা। এছাড়াও একজন করে প্রতিনিধি থাকবেন কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়, নবোদয় বিদ্যালয় ও একটি বেসরকারি স্কুল থেকে। সদস্য সচিবের দায়িত্বে থাকবেন উচ্চশিক্ষা দপ্তরের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সচিব।
প্রতিমাসে শিক্ষামন্ত্রীকে রিপোর্ট অনুযায়ী প্রতিমাসে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের কাছে এই কমিটি রিপোর্ট পেশ করবে— কোচিং নির্ভরতা কমাতে কি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে এবং তা কতটা কার্যকর হচ্ছে।
শিক্ষামন্ত্রক সূত্রে জানা গেছে, গত সপ্তাহেই এই বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে এবং কাজও শুরু হয়েছে। শিক্ষা বিশ্লেষকদের মতে, এই পদক্ষেপ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ এটি দেশের স্কুলশিক্ষার মূল কাঠামোকে পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা। প্রশ্ন উঠেছে— শিক্ষা কীভাবে হবে: অনুপ্রেরণায়, না কি টিউশন নির্ভর রুটিনে? এই প্রশ্নের উত্তরই খুঁজবে এই কমিটি।