
আজিমগঞ্জ, মুর্শিদাবাদ , শনিবার ২৭/০৬/২০২৫
আজিমগঞ্জের বড়নগরে অবস্থিত চারটি বাংলা মন্দির বাংলার প্রাচীন স্থাপত্যশৈলী ও ধর্মীয় ইতিহাসের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী নিদর্শন। বরানগরের চারটি বাংলা মন্দির অবস্থিত পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার আজিমগঞ্জ শহরের উপকণ্ঠে, ভাগীরথী নদীর পশ্চিম পাড়ে। এই জায়গাটি “বারানগর চার বাংলা মন্দির” নামে পরিচিত।
এই মন্দিরগুলি নির্মাণ করেন রানি ভবানী, যিনি ১৮শ শতকে বাংলার অন্যতম নারী জমিদার ছিলেন। রানি ভবানী মন্দির নির্মাণে অনন্য ছিলেন এবং বাংলার বিভিন্ন স্থানে বহু মন্দির ও ধর্মীয় স্থাপত্য তৈরি করেন।
এই মন্দিরগুলি “বাংলা ছাদ” ধাঁচে তৈরি, যা বাংলার ঐতিহ্যবাহী কুঁড়েঘরের ছাদের অনুকরণে তৈরি হয়েছিল।প্রতিটি মন্দিরের ছাদে রয়েছে নকশা করা চালযুক্ত গঠন । নির্মাণে ব্যবহৃত হয়েছে পোড়ামাটির ইট এবং টেরাকোটার অলংকরণ, যা মন্দিরগুলিকে চমৎকার শৈল্পিক সৌন্দর্য প্রদান করে।
নির্মাণে ব্যবহৃত হয়েছে পোড়ামাটির ইট এবং টেরাকোটার অলংকরণ, যা মন্দিরগুলিকে চমৎকার শৈল্পিক সৌন্দর্য প্রদান করে। টেরাকোটা ফলকে মহাভারত, রামায়ণ ও কৃষ্ণলীলার দৃশ্য খোদাই করা আছে।
এই চারটি মন্দির বর্তমানে পুজো-অর্চনার স্থান না হলেও স্থানীয় মানুষ ও পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র ও ঐতিহাসিক স্থান হিসেবে বিবেচিত। বারানগর অঞ্চলে বছরে একবার উৎসব ও স্থানীয় মেলা অনুষ্ঠিত হয়।
আজিমগঞ্জের বরানগরের চার বাংলা মন্দির শুধু স্থাপত্যের নিদর্শন নয়, বরং বাংলার ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক ও নারীর নেতৃত্বের এক উজ্জ্বল দলিল। রানি ভবানীর হাত ধরে গড়ে ওঠা এই মন্দিরগুলি আজও বাংলার ইতিহাসের গর্ব হয়ে দাঁড়িয়ে আছে ভাগীরথীর পাড়ে।