Site icon বাংলা খবর

দু’বছরেও এল না জলের ধারা! উদ্বোধনের ঢাক বাজলেও তেষ্টা মেটেনি জয়কৃষ্ণপুরে

WhatsApp Image 2025-06-19 at 18.11.10_006133ce

SHAMSHERGANJ

দুই বছর আগে জলে ভেসেছিল উদ্বোধনের ঢাক, আজও জল পায়নি জয়কৃষ্ণপুর – নেই নেতা, আছে শুধু হুমকি আর উপেক্ষা!

সামসেরগঞ্জের জয়কৃষ্ণপুর এলাকায় দু’বছর আগে এক জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে নারকেল ফাটিয়ে শুরু হয়েছিল সরকারি জল প্রকল্পের শুভ উদ্বোধন। আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, অচিরেই গোটা এলাকায় পৌঁছে যাবে বিশুদ্ধ পানীয় জল। কিন্তু সেই আশ্বাস এখন শুধুই স্মৃতি। উদ্বোধনের নামে প্রচার ছিল, কিন্তু বাস্তব রয়ে গেছে শূন্য।

আজও জয়কৃষ্ণপুরের সাধারণ মানুষ জল পরিষেবার জন্য হাহাকার করছে। যেটা হওয়ার কথা ছিল সকলের মৌলিক অধিকার, সেটাই আজ বিলাসিতার মতো মনে হচ্ছে। কোথাও কোথাও জল ট্যাঙ্ক বসানো হয়েছে ঠিকই, কিন্তু তা শুধুই চোখের ধোঁকা— না আছে সংযোগ, না আছে জল।

এই প্রকল্পের কাজ থেমে পড়েছে দীর্ঘদিন আগেই। ট্যাঙ্কের নীচে জমেছে কচুরিপানা, পাইপলাইন পড়ে আছে ধুলোয়, আর মানুষ গরমে হেঁটে হেঁটে দূরের কুয়ো বা পুকুর থেকে জল টেনে আনছে— ঠিক যেন ৫০ বছর আগের ছবি!

সবচেয়ে লজ্জার বিষয়, এই ব্যর্থতার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুললেই, কেউ প্রশ্ন তুললেই তাকে পড়তে হচ্ছে রাজনৈতিক হুমকির মুখে। গ্রামের সাধারণ মানুষ ভয়ে মুখ খুলতে পারছে না, যেন গণতান্ত্রিক অধিকার চর্চা করাটাই আজ এক অপরাধ!

স্থানীয় নেতৃত্ব যেন এই বিষয় নিয়ে সম্পূর্ণ উদাসীন। যাঁরা দুই বছর আগে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে হাসিমুখে ছবি তুলেছিলেন, আজ তাঁদের দেখা মেলে না। কোনও তদারকি নেই, নেই কোনও জবাবদিহিতা। অথচ সরকারি অর্থ খরচ হয়েছে, ফাইল ক্লিয়ার হয়েছে, নেতাদের নাম উঠেছে— শুধু জলটা আর উঠছে না!

এই হল আমাদের রাজ্য সরকারের “উন্নয়নের মডেল”। কাগজে কলমে প্রকল্প শেষ, কিন্তু মাটিতে বাস্তবতা শুন্য। আর সাধারণ মানুষ? তারা থেকে গেছে সেই চিরচেনা বঞ্চনার কুয়োতেই।

জয়কৃষ্ণপুরের মানুষ এখন একটাই প্রশ্ন করছেন— “উন্নয়নের নাম করে কি শুধু উদ্বোধনই হবে? কাজের দায় কে নেবে?”

Exit mobile version