

তারক হরি, পশ্চিম মেদিনীপুর
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটালের ঐতিহাসিক ভাসাপুল আজও বিস্ময় জাগায় মানুষের মনে। ১৮৫০ সালে ব্রিটিশ বণিক মি: ওয়াটসন তাঁর ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য তৈরি করেছিলেন এই ব্যতিক্রমী পুলটি। সারিবদ্ধ নৌকার উপর কাঠের তক্তা বসিয়ে তৈরি হয় এই ভাসাপুল, যা ভারতবর্ষে বিরল। পরবর্তীকালে ১৯০৪ সালের বেঙ্গল ফেরি অ্যাক্টের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের যাতায়াতের জন্য এটি খুলে দেওয়া হয়।
এই ঐতিহ্যের পথ অনুসরণ করেই এবার ডেবরার ট্যাবাগেড়িয়া এলাকায় কাঁসাই নদীর ওপর তৈরি হচ্ছে আরও একটি ভাসাপুল। বর্ষা ও বন্যার সময় যখন নদীর জলস্তর বিপজ্জনকভাবে বেড়ে যায়, তখন একমাত্র যাতায়াতের মাধ্যম থাকে নৌকা। জীবনের ঝুঁকি নিয়েই পারাপার হতে হয় নদীর দুই পাড়ের মানুষের। সেই সমস্যার সমাধানে এখন কিছুটা স্বস্তি মিলছে নতুন ভাসাপুলের মাধ্যমে।
এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা বিজয় কৃষ্ণ দাস জানান,
“আমরা এতদিন ধরে বর্ষায় একদম বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতাম। নৌকোই ছিল একমাত্র ভরসা। এখন এই ভাসাপুলটা তৈরি হওয়ায় একটু হলেও হাঁফ ছেড়ে বাঁচতে পারব। এটা সত্যিই একটা বড় সুবিধে, আর ঘাটালের ঐতিহ্যকেও সম্মান জানানো হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।”
ভাসাপুল নির্মাণে যেমন উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে, তেমনই মানুষের জীবনরক্ষা ও যাতায়াত নির্বিঘ্ন করার উদ্দেশ্যকেও সামনে রাখা হয়েছে। ফলে ডেবরার ট্যাবাগেড়িয়া এখন জেলার নতুন নজরকাড়া স্থাপত্য নিদর্শনের তালিকায় জায়গা করে নিচ্ছে।